দুই শহর মুম্বই-কলকাতা, অতি সম্প্রতি, পর্ন-কাণ্ডে জুড়ে গিয়েছে। এই দুই শহরেরই উঠতি মডেল, অভিনেত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের দিয়ে জোর করে পর্ন ছবির শ্যুট করার কথা বলা হয়েছিল। অভিনেত্রী মিশমি দাস এক সময় মুম্বইয়ের বাসিন্দা ছিলেন। এখন তিনি বাংলা ছোট পর্দা, ওয়েব সিরিজের নিয়মিত মুখ বলা চলে। প্রায়ই সাহসী পোশাকে নেটমাধ্যমে ছবি দেয় অভিনেত্রী। দুই শহরকেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। আমরা জানি তিনি মডেলিং থেকে অভিনয়ে এসেছেন। তবে কি তিনি পর্ন ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানালেন, ‘অভিনয়, মডেলিংয়ের কারণে আমি তখন মুম্বইয়ের বাসিন্দা। হঠাৎই এক রাতে আমার কাছে বিশেষ অ্যাপ থেকে এই ধরনের ফোন আসে। আমায় সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয়। বলা হয়, আমি যে শো-তে যুক্ত আছি তারা সেই শো-এর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে। দ্বিগুণ অর্থের টোপও দেওয়া হয় আমায়।’ তাঁকে নাকি কাজের জন্য জোরও করা হয়। অভিনেত্রীর দাবি করেন, রাজি হওয়া দূর, তিনি কিছুক্ষণ কথা বলার পরেই ভয়ে ফোন কেটে দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্লক করে দেন সেই নম্বরটি। মিশমি জানিয়েছেন, তারপরে আর কোনোদিন এই ধরনের ফোন কল আসেনি।
পরে বাবার অসুস্থতার কারণে তাঁকে কলকাতায় ফিরে আসতে হয়। অভিনেত্রী জানান, শো ছেড়ে আসার সময় তাঁর নাকি ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। কারণ, মুম্বইয়ে কাজের সুযোগ বেশি। তাই রোজগারের পরিমাণও বেশি। মিশমির এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল মুম্বইয়ে। কলকাতায় এই অভিজ্ঞতা হয়েছে কিনা তা নিয়ে তিনি জানান এখানে এরকম কোনো অভিজ্ঞতা হয়নি তাঁর। এই ধরনের ইন্ডাস্ট্রির হদিশ এখানে আছে কিনা তার উত্তরে তিনি জানান ‘টলিউডের কোথাও এই ধরনের বেআইনি কাজ হয় না। তবে কানাঘুষো শুনেছি, এই ধরনের কাজ কলকাতার বুকে কোথাও আছে। উঠতি মডেল, অভিনেত্রীদের নিয়ে হাতেগোনা কিছু মানুষ ছবি তুলে নেটমাধ্যমে ছাড়েন। সেই ছবি আমার চোখেও পড়েছে।’ তিনি বলেন যে সাধারণত রবিবার, এই ধরনের শ্যুট হয়। মূল শহরের থেকে একটু দূরে, ফাঁকা কোনও হোটেলে গিয়ে। এ কথা তিনি নাকি লোকমুখে শুনেছেন।