বহু জনপ্রিয়তা লাভ করা ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’-র অনুরাগীমহল এখন দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। কারণ পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ভাশুরের স্ত্রী মিষ্টির সন্তানকে পৃথিবীতে আনতে সাহায্য করেছিল গুনগুন। তাই জন্মের পর থেকেই একরত্তি মেয়েকে কাছ-ছাড়া করতে চাইছে না সে। আর এখানেই আপত্তি নতুন মা মিষ্টির। দুই জায়ের এই মন কষাকষির আঁচ টেলিভিশন পর্দা ভেদ করে চলে এসেছে নেটদুনিয়াতেও। নেটাগরিকদের একাংশ গুনগুনের এই আচরণকে দেখছে ‘বাড়াবাড়ি’ হিসেবে।
নেটাগরিকদের মতে, শুধুমাত্র জন্মের সময়ে পাশে ছিল বলেই মায়ের থেকে সন্তানকে আলাদা করার অধিকার নাকি তাঁর নেই। আবার কয়েক জনের যুক্তি, শৈশব থেকে মায়ের সান্নিধ্য পায়নি তাই মিষ্টির মেয়েকে কাছে পেয়ে নিজের আবেগে লাগাম টানতে পারছে না গুনগুন।
এবার যাকে নিয়ে চর্চা, সেই গুনগুন অর্থাৎ তৃণা সাহা ব্যপারটা কীভাবে দেখছেন? তৃণা বলেন, তিনি এই নিয়ে কিছুই ভেবে দেখেননি। তিনি একজন অভিনেত্রী। তাঁকে পরিচালক যা করতে বলবেন, তিনি তাই করবেন। এ ক্ষেত্রে যে ভাবে চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে, তিনি ঠিক সে ভাবেই অভিনয় করছেন, সেইটাই জানালেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী তৃণা মনে করেন, সদাহাস্যময় গুনগুনের জীবনে যে কোনও সমস্যা থাকতে পারে, এ কথা কেন দর্শক মেনে নিতে পারছেন না? বাংলা ধারাবাহিকের গল্পের সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকলে দর্শকের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা কমে যায় বলে অভিমত তাঁর। তাঁর মতে, মানুষ টাকা খরচ করে ‘সুপারম্যান’, ‘কৃশ’ দেখতে পারে যেগুলোর সঙ্গে বাস্তবের আদৌ কোনও মিল নেই। অথচ ধারাবাহিকের কারও দুটো বিয়ে দেখলে হাসাহাসি করে! অবাস্তব বলে। কেন হাসাহাসি হয়? এই প্রশ্নই করলেন তৃণা নেটাগরিকদের কাছে।