দুজনের পদবি ‘মিত্র’ হলেও তাঁদের মধ্যে মিত্রতার ভাব বোধ হয় একটু কম। টলিউডের দুই ‘মিত্র’ হলেন দুই অভিনেত্রী, রিমঝিম মিত্র এবং শ্রীলেখা মিত্র।
ঘটনা সবারই কম বেশি জানা। বরং তার শেষতম সংযোজন হয়েছে গত মঙ্গলবার রাতে। ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করেন রিমঝিম। কটাক্ষের তির মারেন শ্রীলেখার দিকেই, এমনই মনে করা হচ্ছে। রিমঝিম দুটি স্ক্রিনশট তাঁর লেখার সঙ্গে শেয়ার করেন। একটিতে শ্রীলেখা নিজেই তাঁকে নিয়ে একটি খবর শেয়ার করেছিলেন এবং অন্যটিতে শ্রীলেখাকে নিয়ে প্রকাশিত একটি খবর রয়েছে।
রিমঝিম লিখেছেন সেখানে, মিড লাইফ ক্রাইসিস মানুষকে ফ্রাস্ট্রেটেড করে দেয় তা তাঁর জানা ছিল না। ‘ইগনোরেন্স ইজ ব্লিস ইজ হোয়াট আই হ্যাভ অলওয়েজ বিলিভড ইন’ এই উক্তির পর তাঁর মনে হয়, যে যা খুশি বলুক গায়ে মাখি না, কারণ তাঁর বেসিক্যালি কিছু যায় আসে না এই সমস্ত পাবলিকদের কথায়। এই পোস্টের উদ্দেশ্যই হল অনুভূতিতে বিশাল আঘাত পাওয়া মরাল মাসি/মেসোদের একি পদস্খলন! উনি বলেছেন তাদের অঙ্গুলির ছোঁয়ায় নাকি স্ল্যাঙ্গও আজ পবিত্র? তিনি শ্রীলেখাকে দিদিমণি সম্বোধনও করেন এবং তাঁর কথায়, ‘দিদিমণি(বৌদি বলিনি কিন্তু) যে ভাবে শয়নে স্বপনে এখনও আমায় দেখে চলেছেন আমি সেফ তো বন্ধুরা?’
রিমঝিমের আপত্তি রয়েছে শ্রীলেখা নিজের করা পোস্টে যে শব্দের ব্যবহার করেছেন, তা নিয়ে। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘দিদি শেখালেন ইংরিজিতে বললেই শব্দ শুদ্ধ হয়ে যায়।’ তাঁর এই পোস্ট থেকে শ্রীলেখা আগামী কিছুদিনের ফুটেজ পেয়ে যাবেন এই বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। পোস্টের শেষে রিমঝিম লিখেছেন, ‘আশা করি বৌদি সরি, ডিডি আমার ওপর রাগ করবেন না, অন্তত এক দেড় মাসের ফুটেজ আমার সস থেকে খেয়ে নিতে পারবেন, কি ডিডি ? তাই তো?’
এখনও এই পোস্টের কোনও উত্তর দেননি শ্রীলেখা। কিন্তু তিনি জানান, ‘আমি এই ধরনের কোনও পোস্ট দেখিনি, দেখতে চাইও না আমি। উইশ দেম অল দ্য ভেরি বেস্ট।‘ তিনি এও বলেছেন তাঁর সামনে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। সেই নিয়েই তিনি ব্যস্ত। তাই এখন শুধু পজিটিভ ভাইবসের কথা শুনবেন। কোনও নেগেটিভ কথাকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ।