গত ১৯ শে জুলাই রাজ কুন্দ্রাকে মুম্বাই পুলিশ গ্রেপ্তার করে পর্ণগ্রাফি ভিডিও বানানোর অপরাধে। পুলিশি তদন্ত অনুযায়ী জানা গিয়েছে সমস্ত প্রমাণ রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে রয়েছে বলে। এই ব্যবসা থেকে রাজ কুন্দ্রা দিনে প্রায় ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা উপার্জন করতো বলে জানিয়েছেন।
মুম্বইয়ের যুগ্ম নগরপাল মিলিন্দ ভারাম্বে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজে এই কথা স্বীকার করেছেন। রাজের এক আত্মীয় ব্রিটিশ যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা প্রদীপ বক্সির সঙ্গে এই ব্যবসায় জোট বেঁধেছিলেন বলে তিনি জানান।
মুম্বাই পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী এই ব্যবসাতে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, সেই প্রমাণ রয়েছে মুম্বাই পুলিশের হাতে। এই সব কিছুই নথিভুক্ত করা হচ্ছে এগুলি সবকটা অপরাধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এখনো পর্যন্ত রাজ কুন্দ্রার অ্যাকাউন্ট থেকে ৭.৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে মুম্বাই পুলিশ।
পুলিশি তদন্ত থেকে জানা যায় যে দুটি কোম্পানির আর্মস প্রাইম লিমিটেড দ্বারা নির্মিত একটি মোবাইল অ্যাপ ছিল ‘হটশটস ডিজিটাল বিনোদন’ নামে। হটশটস অ্যাপটিকে ‘বিশ্বের প্রথম 18+ অ্যাপ্লিকেশন’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে যা একচেটিয়া ফটো, শর্ট ফিল্ম এবং হট ভিডিওতে কয়েকটি হট মডেল এবং সেলিব্রিটিদের প্রদর্শন করে বিশ্বব্যাপী।
পরবর্তীকালে রাজ কুন্দ্রা এই অ্যাপটি বিক্রি করে দেয় প্রদীপ বক্সিকে ২৫ হাজার মার্কিন ডলারের। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রাজ ওই অ্যাপ থেকে বেরিয়ে আসে। ওই অ্যাপ থেকে বেরিয়ে আসলেও রাজের ইশারাতেই চলত অ্যাপের সমস্ত কাজকর্ম, তিনি সমস্ত কর্মকান্ডের খবর রাখতে সেই প্রমাণ উঠে এসেছে হোয়াসঅ্যাপ চ্যাট এর মাধ্যমে।
দুই হাজার কুড়ি সালের জুন মাসে শালীনতার মাত্রা অতিরিক্ত ছাড়িয়ে যাওয়ার পর এই অ্যাপটি সরিয়ে দেয়া হয় গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপেল প্লে ষ্টোর থেকে। প্রেস এর সাথে সাক্ষাৎকারের সময় পুলিশ আরও প্রকাশ করেছিল যে কীভাবে পুরো ভারত থেকে মুম্বাইয়ে আসা নতুন বা উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিনেত্রীদের শর্ট ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ এবং অন্যান্য সিনেমাতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল কাজের অফারে।
তাদের অডিশনের জন্য ডেকে আনা হয়েছিল এবং পরবর্তী নির্বাচনের পরে সাহসী দৃশ্যাবলী করার পরে এগুলি অর্ধ-নগ্ন এবং পরে পুরো নগ্ন কান্ডের দিকে চলে যায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তীব্র বিরোধিতা করেছিল এর এবং পুলিশের কাছে গিয়েছিল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ কুন্দ্রা সহযোগীরা।