টলি পাড়ার অন্দরে অভিনেত্রী রাইমা সেন আর চিত্রগ্রাহক তথাগত ঘোষের বন্ধুত্ব কারোরই অজানা নয়। রাইমা-তথাগত ক্যামেরার মুখোমুখি হলেই সে ছবি যেন কথা বলে উঠে। টলিউডের অন্দরের খবর, ছবি তুলতে তুলতেই নাকি চিত্রগ্রাহক তথাগতের কাছে একেক সময় একেক রকমের বায়না করেন রাইমা। সে সব কিছু না মেটালে তিনি নাকি শ্যুটেই ফেরেন না এমনও জানা যাচ্ছে। কী এমন বায়না করেন অভিনেত্রী?
তথাগত জানান যে, একটি ঘোড়া থাকলে বেশ ভাল হতো তাহলে শ্যুটিং আরও জীবন্ত হতো। সে কথা রাইমার কানে যেতেই অভিনেত্রীর বায়না যে এখনই তাঁকে নাকি ঘোড়া এনে দিতে হবে এবং কালো ঘোড়া। তার পরেই হাত-পা গুটিয়ে তিনি চেয়ারে বসে পড়েছেন। নিজের জেদেই অনড় থাকেন। শেষে কালো ঘোড়া এনে দেওয়ার পর তাঁকে নিয়ে শ্যুট শেষ করেন সেনসুন্দরী।
শুধু তাই নয়, একবার শ্যুট করতে করতে রাইমার হঠাৎ আবদার, চায়ের দোকানে সবাই যেমন মাটির ভাঁড়ে চা খায় তাঁরও সাধ জেগেছে তিনিও তেমন করে চা খাবেন। তথাগত কিছুতেই বোঝাতে পারছেন না, রাইমাকে নিয়ে রাস্তায় বেরোলে সবাই তাঁকে ঘিরে ধরবে। কিন্তু সেসব পরে, রাইমার একটাই বায়না, তিনি আগে মাটির ভাঁড়ে চা খাবেন তার পর শ্যুট করবেন। যতক্ষণ না চা খাচ্ছেন ততক্ষণ শ্যুট করবেন না এমনটাই বলেছিলেন তিনি। অবশেষে নায়িকার বায়না মেটাতে তথাগত নাকি তেঘড়িয়ার একটি চায়ের স্টলে আসেন। সেখানকার চায়ের দোকান অন্যান্য দোকানের তুলনায় ফাঁকা সেই দোকানে গিয়ে রাইমা মনের সুখে ভাঁড়ে গরম গরম চা খেয়ে তাজা হন। আর বায়না মিটতেই তিনি বাধ্য মেয়ের মতো ফের শ্যুটে ফেরেন।