বলি পাড়ায় মা-মেয়ে জুটির মধ্যে তনুজা-কাজল জুটি বেশ অন্যতম জুটির মধ্যে একটা। যখন কাজলের সাড়ে চার বছর বয়স তখনই তাঁর বাবা এবং তাঁর মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। কাজল একবার বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে তাঁরা আলাদা হয়ে গেলেও বাবা নাকি তাঁদের পাশেই ছিলেন। বছর কয়েক আগের এক সাক্ষাৎকারে কাজলকে তাঁর বড় হয়ে ওঠা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। যেখানেই তিনি মা তনুজার শাসনের প্রসঙ্গও তুলে আনেন।
কাজলের জানান যে, তাঁর মা এবং বাবা খুবই প্রগতিশীল মানুষ আর তাঁদের এই মানসিকতার সুপ্রভাব পড়েছিল তাঁদের বড় হয়ে ওঠার মধ্যে। কাজলের মতে, তাঁর বাবা-মা সময় মতো আলাদা হয়েছেন নয়তো এক সঙ্গে থাকলে আরও সমস্যা বাড়তে পারত।
কাজল আরও জানান যে, ছোটবেলায় তাঁকে ঘিরেই নাকি তনুজার দিন কাটত। তার জন্য মাঝে মধ্যেই পিঠে দু-চার ঘা পড়ত কাজলের। তিনি দুষ্টুমি করলে কখনও তাঁকে ব্যাডমিন্টন র্যাকেট দিয়ে, কখনও বা থালা ছুড়ে মারতেন মা তনুজা। কিন্তু কাজল ১৩ বছর বয়সে পড়তেই তনুজা তাঁকে বলেন, তিনি আর তাঁকে মারব না। কারণ তাঁর মতে মেয়ে এবার বড় হয়ে গেছে। নিজের সিদ্ধান্ত, নিজের কাজের দায়িত্ব নিজেই নেবে সে। যদিও সেই সঙ্গে এ কথাও জানিয়েছিলেন তিনি, যদি কখনও বড় কোনও ভুল করেন তাঁর মেয়ে, তখন মারধর করতে দ্বিধাবোধ করবেন না তনুজা।