হানি সিংহের পত্নী শালিনী তলোয়ার ১২০ পাতার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। তাঁর মূল অভিযোগ, তিনি গার্হস্থ্য হিংসা, যৌন হেনস্থা এবং সম্পত্তি থেকে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। দিল্লির তিশ হাজারি কোর্টে গার্হস্থ্য হিংসা থেকে মহিলাদের সুরক্ষা আইনের অধীনে একটি আবেদন ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছেন তিনি।
২০১১ সালে মরিশাসে মধুচন্দ্রিমায় যান শালিনী এবং হানি। অভিযোগ, সেখান থেকেই আচমকা হানির ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন শালিনী। তিনি এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হানি নাকি তাঁকে বিছানায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলেন, ‘আমি বিয়ে করতে চাইনি। তোমায় কথা দিয়েছিলাম, তাই বিয়ে করতে হয়েছে।’ তারপর থেকে শালিনীকে হানি তাঁর সঙ্গে কোথাও নিয়ে যেতে চাইতেন না। এক বার হানির ফোনে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর ছবিও নাকি উদ্ধার করেন স্ত্রী শালিনী। তিনি অভিযোগ করেন, জবাব চাইলে শালিনীকে মারধর করেন গায়ক। শুধু তাই নয়, এর পর থেকে শালিনী নাকি ভিন্ন ভিন্ন মহিলার সঙ্গে ছবি দেখতে পান তাঁর স্বামীর।
তাছাড়া হানি নাকি নিজের বিয়ের আংটিও লুকিয়ে রাখতেন যাতে বাইরে কেউ না জানে যে তিনি বিবাহিত। একবার তাঁদের বিয়ের কিছু ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে যায়। শালিনী জানিয়েছেন, তিনি সে বিষয়ে কিছুই জানতেন না, কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁকে সন্দেহ করে এবং তাঁকে নাকি মারধর করেন। এমনকি তারপরে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের দিয়ে সেইসব ছবিগুলিকে নাকি কেটে ছে়ঁটে অন্য রকম বানিয়ে দেন হানি, যাতে মনে হয়, সেই ছবিগুলি আসলে কোনও ছবির সেটে তোলা।
শালিনী আরও দাবি করেন যে, কেবল হানি নন, তাঁর মা, বাবা এবং বোনও তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন। হানি একাধিক নারীর সঙ্গে সঙ্গম করেছেন এইরকম অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী। শালিনী জানিয়েছেন, একবার তাঁর শ্বশুর মত্ত অবস্থায় তাঁর ঘরে ঢোকে সেই সময়ে শালিনী তাঁর পোশাক ছাড়ছিলেন। বেরিয়ে যেতে বললেও তিনি যান না। বৌমাকে যৌন হেনস্থাও করেন হানির বাবা।