একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া থেকে শুরু করে, জন্মদিন, ডিনার, দোল— সমস্ত ছোটখাটো উৎসবেই যেন একে অপরের ছায়া দিতিপ্রিয়া ও বিশ্বাবসু। দুই শিল্পীর ইনস্টাগ্রামই ভর্তি সেই সব ছবিতে। কোথাও একে অপরের চিত্রগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। দুই পরিবারের মধ্যেও যে সম্পর্ক বেশ ভাল, বেশ কয়েক মাস আগেই সে খবর পেয়েছিলেন নেটাগরিকরা কয়েকটি ছবির দৌলতে। বিশ্বাবসুর সঙ্গে যেমন দিতিপ্রিয়ার মা-বাবার ছবি দেখতে পাওয়া যায়। অন্য দিকে মাস কয়েক আগে বিশ্বাবসুর দিদিমার সঙ্গে দিতিপ্রিয়ার ছবিও খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।
এরই মধ্যে টেলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে পর্দার দিদিমা এবং নাতি অর্থাৎ অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় এবং অভিনেতা বিশ্বাবসু বিশ্বাসের সম্পর্কের সংজ্ঞা নিয়ে। জানা যাচ্ছে, তাঁরা নাকি প্রেম করছেন।
তবে কি তাঁরা কেবল বন্ধু নাকি তার থেকে আরও বেশি কিছু? এর আগে অভিনেতা ও অভিনেত্রী এই গুজবকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এ বারে কি বিশেষ কিছু ঘটল তবে? তাহলে আবার এমন গুজব ছড়াচ্ছে কেন?
সম্প্রতি বিশ্বাবসু ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক ছেড়ে দিয়েছেন। তার কারণ স্পষ্ট করে জানাননি তিনি। অন্য দিকে ‘রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে জীবনাবসান হয়েছে রানিমার। তাই দিতিপ্রিয়াও আপাতত ছোট পর্দা থেকে বিরতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে ভূপালের (‘রাসমণি’-তে বিশ্বাবসুর চরিত্র) মতো আরও অনেক চরিত্রই গল্প থেকে খানিক দূরে সরে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তারই মাঝে বিশ্বাবসুর ইনস্টাগ্রামে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যাওয়ার ছবি দিচ্ছেন তিনি নিজেই। তাতেও প্রশ্ন জাগছে, ছবিগুলিতে তিনি কি একা? তিনি কি একাই বেড়াতে গিয়েছেন নাকি দিতিপ্রিয়াও রয়েছেন সঙ্গে? কিন্তু দিতিপ্রিয়ার প্রোফাইলে সাম্প্রতিককালে কোনও ছবি দেখা যায়নি বেড়াতে যাওয়ার।
আসল বিষয় কী? দিতিপ্রিয়া বললেন, ‘আমার এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। বার বার এই একই জিনিস শুনতে হচ্ছে। আমিও একাধিক বার জানিয়েছি যে আমার আর বিশ্বর মধ্যে কোনও প্রেম নেই। আমরা শুধু খুব ভাল বন্ধু। বিশ্বর প্রাক্তন প্রেমিকার নাম (টেলি-অভিনেত্রী অর্কজা আচার্য) তো সবাই জানে। তার পরও কেন জড়ানো হচ্ছে আমার নাম, এটা আমার মাথায় ঢুকছে না।’
একই ভাবে বিশ্বাবসুও হতাশ এই গুজবের প্রসঙ্গে। তিনি জানালেন, যত বারই এই গুজব ছড়াক না কেন, বিষয়টা কখনোই সত্যি হয়ে যাবে না। অভিনেতার কথায়, ‘আগেও যখন শুনেছিলাম যে আমাকে আর দিতিকে নিয়ে নানা রকম কথা রটানো হচ্ছে, তখনও এ কথা বলেছিলাম। এখনও এটাই বলব যে, এই গুজব কেবল গুজবই।’ বিশ্বাবসুর বক্তব্য, সমাজে এক জন পুরুষ এবং এক জন মহিলা ভাল বন্ধু হলেই তাঁদের সম্পর্কে নানা কিছু ভাবেন মানুষ।
তাঁর কথায়, ‘আমাদের ভাবনা চিন্তাকে একটু বদলাতে হবে এবার। আমি বুঝতে পারছি যে, যাঁদের মানুষ পর্দায় দেখছেন, কৌতূহল থাকবেই তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে। কিন্তু কিছু বলে দেওয়ার আগে বা রটিয়ে দেওয়ার আগে এক বার উচিত নিশ্চিত হয়ে নিয়ে বলা।’ বেড়াতে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি ওড়িশা ঘুরতে গিয়েছিলেন।