কখনও তিনি ‘শেরনি’, কখনও বা ‘সুল্লু’। ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত ‘সাইজ কনসেপ্ট’কে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বিদ্যা বালান। শাড়িতেই তিনি স্বচ্ছন্দ, শাড়িতেই খুশি তিনি। কিন্তু জীবনের কোনও না কোনও সময় বডি হাগিং, সিকুইন পোশাক তিনি পরে দেখেননি এমনটা কিন্তু নয়। পরেছেন, চেয়েছেন অন্য অভিনেত্রীর মতো দেখতে… কিন্তু পারেননি, তাঁর মনে হয়েছে তাঁকে কেমন একটা লাগছে। অভিনেত্রী মুখ খুললেন এক চ্যাট শো’য়ে।
রেড কার্পেটে শাড়িতে দাপিয়ে বেশ ভাল ভাবেই পাশ করেছেন বিদ্যা। ট্রেন্ড সেটার? তাঁকে কী বলা যায়? বিদ্যার উত্তর, ‘আমার কাছে তো কোনও চয়েজ ছিল না। ওই সব পোশাকে আমি ফিট করতাম না। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি হয় সারাজীবন ওঁদের মতো হওয়ার বাসনা করে যাব আর নয়তো আমি যা তাই হয়েই থাকতে পারব।‘ বিদ্যা যোগ করেন, ‘যে মুহূর্তে আমি অন্যের মতো হওয়া বন্ধ করে দিলাম দর্শকও আমাকে কাছ থেকে নিতে চাইল।‘ কোনও দিন অন্য কোনও অভিনেত্রীর স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুসরণ করার ইচ্ছে নিয়ে জানান, ‘আমি চেষ্টা করেছি ওঁদের মতো পোশাক পরতে। আমায় কেমন দেখাত। নিজেও কমফোর্টেবল হতে পারতাম না। আমি খুশি আমি যা ভালবাসি আমি তাই পরি। যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। আমি মুক্ত…আমি স্বাধীন। মানুষের কাছে তোমার প্রশংসা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কারণ, তাঁরা নিজেরাও বুঝে গিয়েছেন আমার লজ্জা নেই।‘
তবে তাঁকে পোশাক নিয়ে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি। বিদ্যা জানিয়েছে একবার এক পার্টিতে ফিল্মি দুনিয়ারই এক নামজাদা অভিনেত্রী তাঁকে পরামর্শ দিতে এসেছিলেন। বিদ্যা থ হয়ে যান। এতদিন পরে মুখ খুলে তিনি বললেন, ‘খুব ইচ্ছে হয়েছিল গিয়ে বলি, আগে তুমি অভিনয়টা ঠিক করে শিখে এস।‘ বিদ্যা সেদিন বলতে পারেননি মুখের উপর। ঘটনায় এতটাই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন চুপ করে গিয়েছিলেন তিনি।
সবকিছুর মধ্যে নিজের অভিনয় ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে বলিউডে বারেবারে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিদ্যা। দেখিয়ে দিয়েছেন পোশাক নয়, বরং অভিনয় দিয়েই গ্ল্যামার জগতে টিকে থাকা যায়।