গত দেড় বছরের উপর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঙ্গী হয়েছে মাস্ক। চারিদিকে মাস্কে ঢাকা মুখ। সবসময় বিধিনিষেধ, সামাজিক দূরত্ব বজায়ের কড়া নিয়ম মেনে চলা। আর এসব সারাক্ষন দেখতে দেখতেই বিরক্ত কমেডিয়ান-অভিনেতা সুনীল গ্রোভার। মাস্কে ঢাকা মুখ আর দেখতে চান না তিনি। অপেক্ষা করছেন তিনি সব কিছু আগের মতো যেন স্বাভাবিক হয়ে যায়।
সুনীল জানান যে, তিনি চান এই প্যান্ডেমিক চলে যাক, আবার আগের মতো ১২ ঘণ্টা শুট করবেন তিনি। আর তার চেয়েও বেশি চান মাস্কবিহীন মুখ দেখতে। এই মাস্ক পরা মুখ দেখতে দেখতে তিনি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। তিনি চাইছেন তাঁদের সত্যিকারের মুখ দেখতে। সুনীল আরও জানান, এই প্যান্ডেমিকের জন্য স্পর্শ তথা ‘ব্যক্তিগত ছোঁয়া’ প্রতিটি মানুষের জীবন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন যে, এই মুহূর্তে তিনি যাঁদের সঙ্গে কাজ করছেন তাঁদের অনেকেরই সত্যিকারের মুখ তিনি দেখতে পারেননি, কারণ সেই মাস্ক। তাঁর বলেন, যখন প্যান্ডেমিক শেষ হয়ে যাবে তখন হয়তো ওই মানুষগুলোকে চিনতেও পারবেন না তিনি। কারণ মাস্ক ছাড়া তাঁদের তিনি দেখেননি। তাঁদের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁদের আসল মুখ দেখার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর।
এই প্রসঙ্গে এক ঘটনাও শেয়ার করেছেন তিনি। তিনি জানান, ‘সানফ্লাওয়ার’-এর শুটিং করছিলেন তিনি। হঠাৎই এক ব্যক্তি এসে তাঁকে একটি শটের জন্য অভিবাদন জানান তখন সুনীলও তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কোন ডিপার্টমেন্টে রয়েছেন? লোকটি নাকি সুনীলের মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থেকে বলেন, তিনি সুনীলের হেয়ার স্টাইলিস্ট। তিনি অবাক হয়ে যান। গত দু’মাস ধরে তিনিই সুনীলের সব দায়িত্ব নিয়েছেন। সুনীলের কথায়, ওই প্রথম বার তাঁকে মাস্ক ছাড়া দেখি, চা খাচ্ছিলেন, তাই চিনতেই পারেননি। যেই মাস্ক পরলেন তিনি তখন চিনতে পারলেন।