সোমবার শিল্পার স্বামী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা পর্ন-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দু’দিন ধরে পুরনো কিছু সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উঠে আসছে। এর আগে কপিল শর্মা শোয়ের একটি পুরনো ভিডিয়ো উঠে এসেছিল। যেখানে শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রা এবং তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রা অতিথি হয়ে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন শিল্পার বোন শমিতা শেট্টিও। রাজের বিলাসবহুল জীবন যাপন নিয়ে কমেডিয়ান জানতে চেয়েছিলেন। শিল্পা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী খুব পরিশ্রম করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেই রাজ সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন শিল্পা।
এ বারে আর একটি সাক্ষাৎাকারের প্রসঙ্গ সামনে এল। শিল্পা তাঁর ও রাজের প্রেমের প্রথম দিকের কথা বলেছিলেন। কাজের সূত্রে রাজের সঙ্গে লন্ডনে প্রথম বার দেখা হয় শিল্পার। প্রথম ঝলকেই শিল্পার তাঁকে মনে ধরে যায়। কিন্তু তিনি জানতে পারেন যে, রাজ বিবাহিত। শিল্পা জানতেন না যে প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে রাজের বিবাহ-বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া তখন চলছে। ধীরে ধীরে জানতে পারেন রাজের সব অতীতের ব্যপারে।
কী ভাবে? শিল্পা সেই সময়ে প্রায়শই যেতেন কাজের সূত্রে লন্ডনে। রাজ এক বার তাঁকে নিজের ‘ব্যাচেলর প্যাড’-এ থাকতে বলেছিলেন। সেখান থেকেই শিল্পা জানতে পারেন, রাজের একটি নিজস্ব ‘ব্যাচেলর প্যাড’ আছে। কারণ বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে তাঁর। পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে ‘ব্যাচেলর প্যাড’ খুব সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই চল রয়েছে। কোনও এক জন অবিবাহিত বা বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া পুরুষ ‘ব্যাচেলর প্যাড’ তৈরি করেন একটি বাড়িতে। যেখানে থাকেন অন্যান্য ব্যাচেলর পুরুষরাও। আড্ডা, খেলাধুলা, শখ পূরণের পাশাপাশি যৌন পেশার সঙ্গে জড়িত পুরুষ বা মহিলাদের সেখানে ডাকা হয়। যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার চলও রয়েছে সেখানে।
শিল্পা ও রাজের মধ্যে আলাপের পরে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এক দিন আচমকা শিল্পার কাছে পার্সেল আসে। দেখা যায়, তাতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের অত্যন্ত মূল্যবান ব্যাগ। শিল্পা সেই সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি বুঝতে পারছিলেন যে রাজ নানা ভাবে চেষ্টা করছেন তাঁর মন জয় করতে। কিন্তু তাঁকে দামি দামি উপহার পাঠাতে বারণ করে দেন শিল্পা। তাঁর দাবি ছিল, রাজের সঙ্গে যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল, তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় ছিল তাঁর। কিন্তু রাজ যে তাঁকে প্রেমের ইঙ্গিত দিতেন, সেই কথাও বলেছিলেন শিল্পা। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে থাকা সম্ভব নয় বলে শিল্পা রাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেন। তার কিছু সময় পরে রাজ মুম্বইয়ে বাড়ি কিনে সেখান থেকেই তাঁর ব্যবসা চালাবেন বলে স্থির করেন। তার পরেই তাঁদের প্রেমপর্ব শুরু হয়। বিয়ে হয় শিল্পা আর রাজের।